লক্ষ্মীপুর:
লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার শাকচর এলাকায় যুবতী ধর্ষণ মামলায় দেবর মাইন উদ্দিন ও তার ভাবী হালিমা বেগমকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে ১০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদন্ডাদেশও দেয়া হয়। আজ সকালে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সাইদুর রহমান গাজী এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, স্থানীয় শাকচর গ্রামের মো. দেলোয়ার হোসেনের ছেলে মাইন উদ্দিন ও নুরুল ইসলামের স্ত্রী হালিমা বেগম। রায়ের সময় আদালতে আসামীরা উপস্থিত ছিলেন।
অপরদিকে ধর্ষণের ফলে গর্ভজাত সন্তানের ভরণ পোষানের ব্যয় বহনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য রাষ্ট্রের পক্ষে ডেপুটি কালেক্টরকে নির্দেশ প্রদান করা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০০৫ সালের ৪ এপ্রিল রাতে বিয়ের প্রলোভান দেখিয়ে যুবতীকে ভাবি হালিমার সহযোগিতায় তার দেবর মাইন উদ্দিন একাধিকবার ধর্ষণ করে। পরে ওই যুবতী গর্ভবতী হয়ে পড়লে মাইন উদ্দিন তাকে বিয়ে করতে অস্বীকার করে। স্থানীয় ভাবে বিষয়টি একাধিকবার মিমাংসার চেষ্টা করেও তা হয়নি। পরে ওই বছরের ৩০ অক্টোবর অভিযুক্ত মাইন উদ্দিন ও ভাবি হালিমা বেগমকে আসামি করে সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন ভুক্তভোগী ওই নারী। একই বছরের ২১ নভেম্বর আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জসীট দেয় পুলিশ। দীর্ঘ শুনানী শেষে আদালত এ রায় দেন। এদিকে ধর্ষণের ফলে ওই যুবতীর ঘরে একটি কন্যা সন্তানের জন্ম নেন।
লক্ষ্মীপুর জজকোর্টের অতিরক্তি পাবলিক প্রসিউকিটর মো. আবুল বাসার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন।