রাজশাহী প্রতিবেদক: রাজশাহীতে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চাওয়ায় দুই পুলিশ সদস্যকে মারধর করেছেন এক যুবক। ঘটনার পরপরই অন্য পুলিশ সদস্যরা অভিযুক্ত যুবককে আটক করে থানায় নিয়েছে।
রোববার (১৯ মে) দুপুরে নগরীর বোয়ালিয়া থানাধীন পঞ্চবটী এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আটক যুবকের নাম মো: সোহান (২৩)। তার বাড়ি রাজশাহীর কাটাখালী থানার শ্যামপুর এলাকায়। সোহান পেশায় ইলেকট্রিক মিস্ত্রি। আর আহত দুই পুলিশ কনস্টেবল হলেন শামীম হোসেন ও শহিদুল ইসলাম। ঘটনার পর তাদের রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। ঘটনাস্থলে দায়িত্ব পালনরত উপ-পরিদর্শক (এসআই) ইকরামুল হক গণমাধ্যমকে জানান, পুলিশের একটি টিম নিয়ে মোটরসাইকেল থামিয়ে কাগজপত্র পরীক্ষা করছিলেন। কনস্টেবল শামীম সে সময় সোহানের মোটরসাইকেল থামানোর জন্য সঙ্কেত দেন। সোহান মোটরসাইকেল থামিয়েই প্রশ্ন করেন, তার হেলমেট আছে, কাগজপত্রও আছে। তারপরও কেন তাকে থামানো হলো। কনস্টেবল শামীম বলেন, কাগজপত্র থাকলে স্যারকে দেখান। এ সময় শামীমের সাথে তর্ক শুরু করেন সোহান। কনস্টেবল শামীম তখন মোটরসাইকেল থেকে চাবি তুলে নেন। আর এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে শামীমকে ঘুষি মারেন সোহান। অবস্থা বেগতিক দেখে আরেক কনস্টেবল শহিদুল তাকে রক্ষায় এগিয়ে যান। এ সময় ঘটনাস্থলে পড়ে থাকা একটি কাঠের চলা দিয়ে শহিদুলকে মারতে শুরু করেন সোহান। এতে শহিদুলের মুখ রক্তাক্ত জখম হয়। এসআই ইকরামুল হক জানান, আহত দুই পুলিশ কনস্টেবলের চিকিৎসা চলছে। আটক যুবককে থানা হাজতে রাখা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে সরকারি কাজে বাধা দেয়া ও পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে থানায় মামলা হবে। এই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে তাকে আদালতে পাঠানো হবে।
